আমাদের সম্পর্কে

নতুন এই বাস্তবতায় বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা এমন একটি রাজনৈতিক দল, যা পুরনো ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক কাঠামো ভেঙে একটি গণমুখী, স্বচ্ছ ও প্রগতিশীল নেতৃত্ব গড়ে তুলবে। এহেন গণ প্রত্যাশার প্রেক্ষিতেই “জনতার দল” এর জন্ম।

জনতারদল এর ইতিহাস
৫ই আগষ্ট ২০২৪ এর পর বাংলাদেশে যে নতুন রাজনৈতিক প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) শামীম কামাল প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে জনতার দল গঠনের উদ্যোগ নেন। তার আহবানে সাড়া দিয়ে মেজর (অবঃ) ডেল এইচ খান প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়ক ও মুখপাত্র হিসেবে জনতার দলে যোগ দেন।
২০২৫ সালের রমজান মাসে দলের নাম, লোগো, পতাকা, মটো, মূলমন্ত্র ও স্লোগান নির্ধারিত হয় এবং ২০ মার্চ ২০২৫ তারিখে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জনতার দল আত্মপ্রকাশ করে। জনতার দলের আহবায়ক সদস্য সচিব হিসেবে জনাব আজম খানের উদ্যোগে বনানীতে জনতার দলের প্রথম অফিস উদ্বোধন করা হয়।
জনতার দলের ভিশন
প্রযুক্তি, ন্যায়বিচার ও অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের ভিত্তিতে একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর প্রশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আত্মনির্ভর, দুর্নীতিমুক্ত ও বৈশ্বিক মানের রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা, যেখানে ন্যায্যতা, মেধা ও মানবিক মূল্যবোধ নিশ্চিত হবে এবং প্রতিটি নাগরিক মর্যাদা, সুযোগ ও নিরাপত্তা লাভ করবে।


জনতার দলের লক্ষ্য
জনগণের চাহিদা ও প্রত্যাশার ভিত্তিতে ন্যায্যতা, মেধা ও মানবিক মূল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর প্রশাসন গড়ে তোলা, যা বাংলাদেশকে দূর্নীতিমুক্ত, স্বনির্ভর, স্বাধীন ও নিরাপদ রাষ্ট্রে পরিণত করবে।
জনতার দলের মূলনীতি
১।ন্যায় ও সুশাসন: স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলা।
২। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা: কৃষি, প্রযুক্তি ও শিল্পের সমন্বয়ে বৈচিত্র্যময় অর্থনীতি সৃষ্টি।
৩। গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ: স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন ও দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠা।
৪। শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন: নৈতিকতা ও আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি।
৫। জাতীয় নিরাপত্তা: আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও সাইবার নিরাপত্তা জোরদার।
৬। যুবশক্তির ক্ষমতায়ন: তরুণদের জন্য শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।
৭। পরিবেশ ও টেকসইতা: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ।
৮। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য: বাঙালি সংস্কৃতির প্রচার ও সংরক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় শক্তিশালীকরণ।


জনতার দলের রাজনৈতিক কাঠামো
১) কেন্দ্রীয় কমিটি: অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী ও তরুণ প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত হবে এবং দলের কৌশলগত নেতৃত্ব প্রদান করবে।
২) নীতিনির্ধারক পরিষদ: অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা ও প্রশাসন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত হবে এবং নীতি প্রণয়ন করবে।
৩) স্থানীয় শাখা: ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যায়ে গণমুখী নেতৃত্বের সমন্বয়ে গঠিত হবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
৪) এথিক্স বা নৈতিকতা কমিটি: সৎ, বিজ্ঞ, ও স্বাধীন তদারককারীদের সমন্বয়ে গঠিত হবে এবং দলের সদস্যদের নৈতিকতা ও সততা নিশ্চিত করবে।
জনতার দল যাদের কাছে কৃতজ্ঞ
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) শামীম কামাল
লেঃ জেনারেল (অবঃ) সাব্বির আহমেদ
জনতার দল নাম প্রস্তাবক।